ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

রামুর ‘কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতু বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীসহ এমপি কমলের স্থান পরিদর্শন

নীতিশ বড়ুয়া, রামু :: রামুর বহুল প্রতিক্ষীত কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতুর খচড়া ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার(৭ জানুয়ারী) দুপুরে চুড়ান্ত ডিজাইন বাস্তবায়নে এলজিইডি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দল নিয়ে রামুর বাঁকখালী নদীতে নির্মিতব্য কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতুর স্থান পরিদর্শন করেছেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দল কাউয়ারখোপ ও মনিরঝিল এলাকায় বাঁকখালী নদীর দুই পাড়ের স্থান, বসতভিটে ও সড়ক যোগাযোগ সরেজমিন পরির্দশন করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় এলজিইডি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দলে ছিলেন, কনসালটেন্ট প্রকৌশলী আবদুর রহমান ভূঁইয়া, প্রকৌশলী জাকারিয়া পাঠান, প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান, রামু উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আলা উদ্দিন খাঁন।
পরিদর্শনকালে কক্সবাজার-৩(সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, রামুর বহুল প্রতিক্ষীত কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতুর খচড়া ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে সয়েল টেস্ট, টপো, লে-আউট প্ল্যান ও ডিজাইন সার্ভের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। চুড়ান্ত ডিজাইন পরিকল্পনায় এলজিইডি’র বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী দল রামুর বাঁকখালী নদীতে কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতুর স্থান পরিদর্শন করেছেন। ডিজাইন চুড়ান্তের পর, সেতুর বাজেট পরিকল্পনা ও অনুমোদন নেয়া হবে। একনেক এর অনুমোদনের পর দ্রæত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
এমপি কমল বলেন, স্বাধীনতার পরে রামুর কাউয়ারখোপের মনিরঝিল ও নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়িবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী ছিলো- বাঁকখালী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ। দুই উপজেলার প্রায় ষাট হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাহীন কষ্ট দীর্ঘ বছরের। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাণের দাবীতে বাঁকখালী নদীতে ‘কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতু’ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। স্বাধীনতার পঞ্চশ বছর পর কাউয়ারখোপ, মনিরঝিল, সোনাইছড়িবাসির দীর্ঘ বছরের এ দাবী আজ বাস্তবায়নের দোরগোড়ায়। এ বছরের মধ্যেই রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে বাঁকখালী নদীতে ১২০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু’র নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কনসালটেন্ট আবদুর রহমান ভূঁইয়া ও জাকারিয়া পাঠান জানান, ‘কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতু’র চুড়ান্ত ডিজাইন পরিকল্পনায় বাঁকখালী নদীতে সেতুর নির্মিতব্য স্থান ও আশপাশ এলাকা দেখেছি। ইতিপূর্বে ওই স্থানের প্রাথমিক সার্ভে ও মাটি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। জায়গাটি সেতু নির্মাণের উপযুক্ত। কিছু সময়ের মধ্যেই চুড়ান্ত ডিজাইন সম্পন্ন করা হবে।
সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ষাট হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতে চরম দূর্ভোগের অবসান হবে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ শিক্ষক এম সোলতান আহমদ মনিরী ও সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ আল মামুন।
‘কাউয়ারখোপ-মনিরঝিল সেতু’র চুড়ান্ত ডিজাইন বাস্তবায়নের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীটিমসহ এমপি কমল স্থান পরির্দশনে পৌঁছালে, তাঁদেরকে স্বাগত জানায় কাউয়ারখোপ-মনিরঝিলের শতাধিক বাসিন্দাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামশুল আলম, রামু উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ওসমান সরওয়ার মামুন, মনিরঝিলের বাসিন্দা কবি ও প্রাবন্ধিক এম সুলতান আহমদ মনিরী, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা তৈয়ব উদ্দিন সিরাজ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, মীর কাশেম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, রামু প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ আল মামুন, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মনজুর আলম সোহেল, যুবলীগ নেতা ওসমান গণি, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মেম্বার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আজিম, যুগ্ম-সম্পাদক ফেরদৌস গোলাপ, যুবলীগনেতা আজিজুল হক, এস এম মালেক, শহীদুল্লাহ কোং সহ স্থানীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ।

পাঠকের মতামত: